মূল: ফ্রেডি মার্কারি
অনুবাদ: রুদ্র আরিফ
অনুবাদকের ভূমিকা
ফ্রেডি মার্কারি [৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬–২৪ নভেম্বর ১৯৯১]। মিউজিক দুনিয়া উলট-পালট করে দেওয়া ব্রিটিশ রকস্টার। ‘কুইন’ ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যান। অতি আলোচনা ও সমালোচনামুখর নাতিদীর্ঘ জীবনে নিজেকে পরিণত করে গেছেন রক মিউজিক দুনিয়ার দুর্ধর্ষ কিংবদন্তিতে। তার আত্মকথনমূলক লেখালেখি নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে ‘অ্যা লাইফ, ইন হিজ ওন ওয়ার্ডস’ নামে একটি বই। ২০০৬ সালে বইটি প্রথম প্রকাশ করে মার্কারি সংস লিমিটেড। সে বইয়ের ধারাবাহিক অনুবাদের চতুর্থ কিস্তি হাজির করা হলো এখানে…
আগের কিস্তি: ফ্রেডি মার্কারির জার্নাল [১] । ফ্রেডি মার্কারির জার্নাল [২] । ফ্রেডি মার্কারির জার্নাল [৩]
আমি কখনোই অ্যা নাইট অ্যাট দ্য অপেরাকে ভুলব না। কোনোদিনই না। (আমাদের) প্রথম চারটি অ্যালবামের মধ্যে এটিতেই সময় লেগেছিল সবচেয়ে বেশি। আমরা আসলেই এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা অ্যালবামটাকে যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম– বিশেষ করে এটি নিয়ে এত বেশি সময় ধরে কাজ করার পর– তেমনটা করে তুলতে পারা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের কাছে এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যালবাম। এখানে ছিল (আমাদের) সবচেয়ে দাপুটে গানগুলো। আমরা তাই আগেভাগেই জানতাম, এটিই আমাদের শ্রেষ্ঠতম অ্যালবাম হতে যাচ্ছে। অপেরাধর্মী জিনিস আমার সত্যিই ভালো লেগেছিল। ভোকাল হিসেবে আমি ‘মারাত্মক’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলাম।
সেই মুহূর্তে আমরা এমন একটি অ্যালবাম বানিয়েছিলাম, স্বীকার করছি, যেটি গ্রহণ করার ক্ষমতা বেশির ভাগ শ্রোতারই ছিল না। কিন্তু আমরা অ্যালবামটাকে এমনটাই করতে চেয়েছিলাম। সাউন্ড নিয়ে নিরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কখনো কখনো একইসঙ্গে তিনটা স্টুডিও ব্যবহার করেছি।
মূল অ্যালবামটি রেকর্ড করতে সময় লেগেছিল ৪ মাস। ব্রায়ানের (লেখা) দ্য প্রফেট গানটির রেকর্ড করতেই লেগে গিয়েছিল আড়াই থেকে তিন সপ্তাহ। এ অ্যালবামে আমরা আরও অনেক গানই করতে চেয়েছিলাম। এর ফলে আরও বেশ কিছু গান পাল্টে নিতে হয়েছে। কী করতে চাই– সে ব্যাপারে আমরা প্রত্যেকেই ছিলাম স্বাধীন। ফলে বিচিত্রসব কর্মকাণ্ড করেছি, এবং চূড়ান্ত কিছু করতে হয়েছি সক্ষম। নিজের (লেখা) গানগুলো লিখতে আমি সময় পেয়েছিলাম মাত্র দুই সপ্তাহ; তাই যা-তা পর্যায়ের খাটুনির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের।
অ্যা নাইট অ্যাট দ্য অপেরা শিরোনামটি ধরা দিয়েছে রেকর্ডিংয়ের একদম শেষে। আমাদের মনে হলো, ‘আচ্ছা, গান তো হয়ে গেছে, এই অ্যালবামের নাম দেব কী?’ নানা ধরনের নাম আসছিল মাথায়। শেষ পর্যন্ত আমি বললাম, ‘দেখো, এ এক ধরনের অপেরাধর্মী কাজ; তাই এটাকে সেভাবেই ভাবা যাক বরং।’ এরপর আমি আর রজার এর শিরোনাম নিয়ে আলাপে বসে গেলাম আর এই নামই মানিয়ে গেল।
অ্যা নাইট অ্যাট দ্য অপেরা বানাতে গিয়ে স্টুডিও টেকনিক সম্পর্কে বহু কিছু শিখেছি আমরা। বেচারা সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারকে আসলেই বেশ ভুগতে হয়েছিল। কেননা, আমরা সাউন্ড লেবেল যতটা সম্ভব বাড়িয়ে তুলতে চেয়েছিলাম। এ কাজে আমরা অবশ্য খুবই বাজে! ফোজার্স আমরা বাড়িয়েই তুলছিলাম; বেচারা লোকটি [সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার] মিটারের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘আচ্ছা, তার মানে এটার কাট কখনোই হবে না!’
তারপর রেকর্ডিংকে নিউইয়র্ক কিংবা তার যেখানে খুশি– নিয়ে যেতে দিয়েছিলাম; সেই সময়ে বলে দিয়েছি, ‘কাটগুলো যেন যতটা সম্ভব লাউডলি থাকে, সেটা নিশ্চিত করবে কিন্তু।’ এ এক ভীষণ দারুণ ডিভাইডিং লাইন; কেননা, আমরা সবসময়ই চাই আরেকটু বেশি মিউজিক ঢুকাতে; কিন্তু একইসঙ্গে আপনাকে এ কথাও মনে রাখতে হবে, যে, খুব বেশি কিছু ঢোকানো যাবে না; নয়তো গানটি উল্টো ভোগান্তিতে পড়বে। তবে আমাদের (সাউন্ড) ইঞ্জিনিয়ার মাইক স্টোন ছিলেন বেশ দারুণ। সেই পুঁচকে হতভাগা লোকটি… কী দারুণ এক পুঁচকে মানুষ তিনি!
আরেকটি জিনিস আমাদের সত্যিই খুব কাজে লেগেছিল; আর তা হলো– একটি সফল ওয়ার্ল্ডওয়াইড ট্যুর– যা কি না এর আগে কখনো করিনি। এটা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। মঞ্চে কী রকম আচরণ করতে হয় এবং কীভাবে মিউজিকের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতে হয়– সেটি ওই ট্যুর আমাদের শিখিয়েছিল। ব্রিটেন [১৯৭৪] দিয়ে শুরু করেছিলাম, এরপর আমেরিকাতেও মঞ্চে একই ধরনের স্টেজ-অ্যাক্ট করেছি, তারপর যখন জাপানে [১৯৭৫] গিয়েছি– তখন তো আমরা একেবারেই অন্য একটি ব্যান্ড! এইসব অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে দিয়েছে।
এরপর যখন ‘অপেরা’ অ্যালবামের কাজ করতে এলাম, সেখানে আগে করা নির্দিষ্ট কিছু জিনিস তো অবশ্যই ছিল, তবে সেগুলো আমরা আগের চেয়ে আরও যথেষ্ট ভালোভাবে করতে পেরেছি। আমাদের বাজানোর সক্ষমতা আরও শ্রেয় হয়ে উঠেছে।
…
আমার
কণ্ঠ শকুনের
চিৎকারের মতো
হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত
আমি গান
গাইব
…
চাপের মধ্যে থাকলেই যেন আমরা ভালো কাজ করতে পারি! পা ভেঙে পড়ার আগ পর্যন্ত আমরা কাজ করব। আমার কণ্ঠ শকুনের চিৎকারের মতো হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত আমি গান গাইব। আমাদের নিয়ে ফিসফাস ও গল্প-গুজবের শেষ নেই; আমরা বেশ উচ্চতর জীবন কাটাই। যদি কোনো গান ঠিকঠাকভাবে না হয়, তা না হওয়া পর্যন্ত খেটে যাই। আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্তবাগীস ব্যান্ড; নিজেদের প্রতিটি অ্যালবামেই নিজেদের ভালোবাসা অনেক বেশি জুড়ে দিই। এটিই আমাদের চলার পাথেয়। আমরা যদি এমন একটা অ্যালবাম করতাম, যেটা শুনে লোকে বলতে পারত, ‘আরে, এটা তো শুনতে শির হার্ট অ্যাটাক-এর মতোই,’ তাহলে আমি বরং অ্যালবামটিই ছেড়ে দিতাম। সত্যি ছেড়ে দিতাম। তাই নয় কি?
দৃশ্যপটে নতুন কেউ, আপনি ও আপনার সাফল্যের পিছু নেওয়া নতুন কোনো মুখ সবসময়ই থাকবে; আর সেই চ্যালেঞ্জ আসলে ভালোই। আমি মনে করি, প্রতিটি বড় ধরনের সফল ব্যান্ডের জন্যই এটা দরকার। ব্যাপারটি এমন, যেন সারাক্ষণ আমরা একেকটি টাটকা ইনজেকশন নিচ্ছি। এ এক দারুণ প্রতিযোগিতা; আমি এটা পছন্দ করি। আমি বলতে চাচ্ছি, যখন আমরা শুরু করেছিলাম, স্রেফ চেয়েছিলাম তাদের দরজায় কড়া নাড়তে– আশেপাশে যাদেরকে আমাদের কাছে বড় (ব্যান্ড) বলে মনে হয়েছিল; আর বলেছিলাম, আমরা ওদের চেয়েও ভালো করতে সক্ষম।
এদিকে, অন্য ব্যান্ডগুলোর পথচলাও থেমে থাকে না কখনো; আর এ ব্যাপারে আমরা সজাগ। নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিস্থিতিতে দেখতে আমার ভালো লাগে। ওরা যদি ভালো হয়, তাহলে ওরা ওদের নির্বিবাদ অবস্থা তৈরি করতে পারবে। প্রত্যেকের জন্যই তো যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। নতুন ব্যান্ডগুলো এসেই আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছে– ব্যাপারটা দারুণ না? কেননা, আপনার ব্যান্ড যদি গোণায় ধরার মতো তেমন কিছু না হয়, তাহলে ওরা বলবে, ‘আরে, বাদ দাও ওদের কথা!’
পাংক সময়কালের [১৯৭৭] পুরোটাই ছিল আমাদের জন্য একটা কঠিন সময়; আমি ভেবেছিলাম, ব্যাপারটা ভালোই আগাবে। তবে ওখানে যদি চ্যালেঞ্জের কোনো ব্যাপার থাকে, আমরা তাতে সাড়া দেব। এভাবেই পথ চলছি আমরা।
…
আমরা এবং পুরো পাংক
রক ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী
জিনিসটি একই
ছাদের নিচে–
ভাবা যায়!
…
আসলে, স্টুডিওতে যখন শির হার্ট অ্যাটাক ট্র্যাকটির কাজ করছিলাম, সেই স্মৃতি আমি কোনোদিনও ভুলব না; আমাদের পাশের স্টুডিওতেই ছিল সেক্স পিস্টলস। আমরা এবং পুরো পাংক রক ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী জিনিসটি একই ছাদের নিচে– ভাবা যায়! যাহোক, জনি রোডেন ও সিড ভিসিয়াস আমাদের একটি ট্র্যাক শুনতে এসেছিলেন; তাদের বলেছিলাম, তারা যদি আমার কোনো গান গাইতে রাজি হয়, তাহলে আমিও তাদের একটি গান গাইব, তখন দেখা যাবে। তাদের ভাবটা ছিল এ রকম, ‘আমরা ফ্রেডি মার্কারির সঙ্গে গাইতে পারব না!’
সে সময়ে আমি ব্যালে পাম্প ও ওই ধরনের পোশাকআশাক পরতাম। বেশ চটকদার ছিল ব্যাপারটা। সিড ভিসিয়াাসকে আমি বোধহয় সিমন ফেরোসাস বা এ রকম কোনো নামে ডেকেছিলাম; ওর সেটা মোটেও ভালো লাগেনি। বলেছিলাম, ‘এটা তুমি কী করতে চাচ্ছ?’ আসলে সারা শরীরে দাগ ছিল ওর; তাই জানতে চেয়েছিলাম, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের শরীরে আঁচড় কেটেছেন কি না। তার সঙ্গে আমার এভাবে কথা বলার ধরনটা তিনি পছন্দ করেননি।
আমরা উগ্র হতে চাই না। উগ্রতার বাস আসলে আমাদের অন্তস্তলে। আমরা হলাম রক’এন’রোলের সেসিল বি. ডি মিল– সবসময়ই আরও বড় আর আরও ভালো কিছু করতে চাই! কিন্ত সেক্ষেত্রেও আপনার মধ্যে প্রতিভা থাকতে হবেই। মাঝে মধ্যে ভাবি, ‘হায় প্রভু, লোকে নিশ্চয়ই ভাবছে এসব (গান-বাজনা) করতে গিয়ে কী খাটুনিটাই না খাটছি আমি,’ অথচ তা নয়। মিথ্যে ভানের আড়ালে জীবন কাটাতে আমি ঘৃণা করি। কুইনরা কোনো ফ্রড নয়। আমরা এক ধরনের ভাবমূর্তি উপস্থাপন করি। সেটির কোনো তকমা দিই না। আমরা বলি, ‘এই হলো কুইন। এই আমাদের মিউজিক। আর, এভাবেই আমরা নিজেদের উপস্থাপনা করি।’
কুইন সম্পর্কে মজার ব্যাপার হলো, কেউ এটার দিকে আঙুল তুলতে পারে না; আমরা কাউকে সেই অধিকার দিতে নারাজ। আমরা বলি, ‘এই হলাম আমরা। এটাকে কীভাবে নেবেন, সেটা আপনার ব্যাপার।’
…
কাল
যদি হুট
করেই ব্যালে
হয়ে ওঠে রেজ,
কিংবা জনপ্রিয়তার
কোনো নতুন ধারাকে
উপভোগ করে জ্যাজ–
তবু আমরা
পাল্টাব
না
…
এর মধ্যে জড়ো হয়ে জোট বাঁধার ও ধুমধামের ব্যাপারও রয়েছে। আমরা নিজেদের মতো পোশাক পরতে ভালোবাসি। যদি আপনি কোনো কিছু চর্চা করেন, সেটি শুধুমাত্র স্বল্পকালের জন্যই; কিন্তু আমরা সেটি দীর্ঘমেয়াদের ভাবনা থেকে করি। কাল যদি হুট করেই ব্যালে হয়ে ওঠে রেজ, কিংবা জনপ্রিয়তার কোনো নতুন ধারাকে উপভোগ করে জ্যাজ– তবু আমরা পাল্টাব না। স্রেফ একই জিনিস বাজিয়ে যাব; কেননা, আমরা আসলে এটির মধ্যেই জীবন কাটাই।
সেভেন সীজ অব রাই [১৯৭৪] গানটি যখন হিট হলো, সবাই বলাবলি করল– এটা আমাদের জন্য একটা বাজার তৈরি করে দিয়েছে, তাই আমাদের তা ধরে রাখা দরকার। আমরা কিন্তু তা চাইনি। কেননা, আমাদের শক্তি আসলে স্বয়ং মিউজিকের মধ্যেই নিহিত। আজব ব্যাপার হলো, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে থাকছি, জানি কীভাবে পরিবর্তন ঘটাতে হয়, আর সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বুদ্ধিমত্তা আমাদের রয়েছেই। আমি জানি, মিউজিশিয়ান হিসেবে আমরা দারুণ। জানি, যতদিন চাই, ততদিন এই ময়দানে চষে বেড়ানোর মতো মেধা আমাদের রয়েছে। আর, আমরা যা করছি– আমাদের দেখানো পথে পথ চলতে চাওয়া বেশির ভাগ ব্যান্ডের তুলনায় স্বয়ং আমরাই সেটির লালন বেশি করি।
নিজেদের ভুল থেকেই শিক্ষা নিই আমরা। এখন আর স্রেফ স্টুডিওতে ঢুকে পড়ে রেকর্ড করতে শুরু করে দিই না; বরং বাকি সবকিছুর দিকেও নজর রাখি, এবং নিশ্চিত করি– যা চাচ্ছি তা যেন করতে পারি। আমাদের অ্যালবামের স্লিভের আর্টওয়ার্ক থেকে শুরু করে, ইনার ব্যাগ হয়ে, রেকর্ড কোম্পানি ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দেনদরবার করা পর্যন্ত এ কথা সত্য। এ হলো কোনো বিরাট প্রকল্প দেখভাল করার মতো ব্যাপার।

এখনো আমাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এক রুমে থাকলে এখনো শিশুদের মতো আমি আর ব্রায়ান তর্কাতর্কি শুরু করে দিই… যদিও আজ পর্যন্ত কোনোদিনই ওকে মেরে বসিনি!
এইসব জিনিসের পিনপয়েন্ট করা খুবই কঠিন, তবে আমাদের চারজনের মধ্যে একটা একাত্মতা নিশ্চিতভাবেই রয়েছে। আমাদের চারজনের ভূমিকাই এক। কুইন হলো চারটি ঘোড়ায় টানা একটি রথের মতো; আর সেটির লাগাম আমাদের চারজনের হাতেই পর্যায়ক্রমে ঘুরতে থাকে। আমরা চারটি আলাদা চরিত্র; আর এ কারণেই এটি কাজ করে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে– এমন কোনো দুজন নেই। আমাদের চারজনেরই পছন্দের জিনিসপত্র যার যার মতো একেবারেই আলাদা; অথচ আমরা একসঙ্গে কাজ করি, আর সেই রসায়নই কাজগুলোকে হয়ে উঠতে দেয়। কিন্তু কী সেই রসায়ন– সে কথা আপনাদের বলতে পারব না। কে-ই-বা পারবে? এ যেন স্রেফ একসঙ্গে মানিয়ে যাওয়ার ব্যাপার। এভাবেই তো দারুণ ব্যান্ডগুলোর জন্ম ঘটে। হ্যাঁ, আমরা দারুণ!
প্রিয় বন্ধু, এ কথা মেনে নেওয়াই ভালো– আমরা জগতের সর্বকালের সবচেয়ে উটকো ব্যান্ড।
পরের কিস্তি, আসছে…