লিখেছেন: ক্রিস্তিনা স্কাব্বিয়া
ভূমিকা ও গ্রন্থনা: এলিজাবেথ স্কারলেট
অনুবাদ: রুদ্র আরিফ

ভূমিকা
ইতালির মিলানের মেটাল রাজাধিকারী ব্যান্ড লাকুনা কয়েল-এর হয়ে ২৫ বছর ধরে গান গেয়ে নিজের এক তুখোড় ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন ক্রিস্তিনা স্কাব্বিয়া। নিজ ব্যান্ডের এতদিন ধরে প্রকাশ পাওয়া অ্যালবামগুলো থেকে নিজের কাছে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হওয়া ১০টি গান বেছে নিতে বলা হয়েছিল তাকে। সেগুলো বেছে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি প্রকাশ করেছেন অনুভূতিও।
হেভেন’স অ্যা লাই
[কমালিজ; ২০০২]
হেভেন’স অব লাই দিয়েই এসবের শুরু। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অজফেস্টে [মিউজিক ফেস্টিভ্যাল] আমাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল, পারফর্ম করার জন্য। গানটিকে ভালোবাসা একেবারেই ভিন্ন দর্শক-শ্রোতার সামনে পারফর্ম করার অসাধারণ এক সুযোগ এনে দিয়েছিল সেটি।
মনে পড়ে, ‘ডব্লিউএএএফ’ নামে একটি রেডিও স্টেশন– এখন আর নেই– সেটি এ গান বাজানোর সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিল; এরপর অন্য আরও অনেক স্টেশন গানটি বানানো শুরু করে। দিন কয়েকের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক রেডিও স্টেশনে বাজতে থাকে হেভেন’স অ্যা লাই।
রেডিও স্টেশনে এমন সাফল্যের পর, সেই এমটিভি২– যারা কি না যুক্তরাষ্ট্রে এমটিভির মূলত রক কাউন্টারপয়েন্ট, তারা আমাদের একটি ভিডিও করে দেওয়ার আহ্বান জানায়। আমরা তাই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য ভিডিওটি বানিয়েছিলাম। পরে সেটি ইউরোপেও মুক্তি পেল, এবং ইউরোপজুড়ে চলতে শুরু করল। এভাবে এ গান বহু দিক থেকেই আমাদের জন্য সুনিশ্চিত পরিবর্তন বয়ে এনেছিল।
সোয়াম্পড
[কমালিজ; ২০০২]
এ গান বেছে নেওয়া কারণও সেই একই, অর্থাৎ, এটি আমাদের পরিচিতিলাভের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমার ধারণা, এই প্রথমবার আমাদের কোনো গান কোনো সিনেমার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। মূল সিনেমাটির জন্য অবশ্য নয়, বরং রেসিডেন্ট এভিল-এর সাউন্ডট্র্যাক হিসেবে; ফলে এটি আমাদের জন্য ছিল বিরাট ঘটনা। স্লিপনট-এর মতো বড় বড় ব্যান্ডের পাশে আমাদের নাম গেল এর ফলে; আর তা আমাদের মতো (তখন) তুলনামূলকভাবে নতুন একটি ইতালিয়ান ব্যান্ডের জন্য ছিল সত্যিকার অর্থেই বেশ আমুদে ব্যাপার।
নিজেদের মিউজিক রচনার সময় আমরা বিভিন্ন সিনেমা ও ইমেজ থেকে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হই; ফলে কোনো একটা সিনেমার একটি প্রকৃত সম্পূর্ণ সাউন্ডট্র্যাক লিখতে পারাও ছিল আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারা– এ ছিল আমাদের জন্য একটি দারুণ সূচনা; তা-ও আবার রেসিডেন্ট এভিল-এর মতো সিনেমায়!
এনজয় দ্য সাইলেন্স
[কর্মকোড; ২০০৬]
ডিপেচ মোড-এর [ব্রিটিশ ইলেকট্রনিক রক ব্যান্ড] এই গানটি একেবারেই তাদের মতো করে কাভার করার আইডিয়াটি ছিল আমার। ডিপেড মোডকে চিনেন না– দুনিয়ায় এমন কোনো বান্দা যদি থেকে থাকেন, এই কাভারটি শুনলে তারা ভাববেন, এটি বুঝি আমাদেরই গান। এটিই ছিল মূল উদ্দেশ্য!
গানটি আমার ভালোই লাগে। আমার ধারণা, এটির মধ্যে লাকুনা কয়েল-এর একটি সত্যিকারের প্রতিফলন রয়েছে; এবং ডিপেচ মোডও গানটি পছন্দ করেছে। তারা আমাদের এটির একটি ভিডিও বানানোর অনুমতিও দিয়েছে– সে কথা হয়তো অনেকেরই অজানা। কেননা, আপনি নিশ্চিতভাবেই যেকোনো গানের কাভার রেকর্ড করতে পারবেন, সেখানে সেই গানের রচয়িতার নাম অবশ্যই দেবেন; কিন্তু মূল ব্যান্ডটির অনুমতি না নিয়ে সেটির কোনো অফিসিয়াল ভিডিও বানাতে পারবেন না।
তারা আমাদের সেই অনুমতি দিয়েছিল; আর আমরা তাতে বেজায় খুশি।
ক্লোজার
[কর্মকোড; ২০০৬]
ক্লোজার-এর বেলায় আমরা স্রেফ একটি আরও বেশি আনন্দের গান করতে চেয়েছিলাম। মাঝে মধ্যে আমরা এমনসব গান নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করি, যেগুলোকে মেটাল হতেই হবে– এমন কোনো কথা নেই; হেভিনেস পছন্দ করি আমরা, তবে সেটির মজার দিকও থাকা চাই।
কোনো শো’তে গানটি শোনার সময় আপনারা যেন হ্যাডব্যাংয়ে অংশ নিতে পারেন– সেটি আমরা মাথায় রাখি ঠিকই, তবে মজার অংশটিও আমাদের পছন্দের, যে অংশ শুনে আপনারা বলে ওঠবেন, ‘বাকি সব জাহান্নামে যাক, আমি স্রেফ আমার বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে চাই আর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একে অন্যের প্রতি করতে চাই চিৎকার!’
আমাদেরকে ভিডিও গেমের দুনিয়ায় যুক্ত করে দেওয়ার অন্যতম গান ক্লোজার। এ কথা শুধুই ‘রক ব্যান্ড’র গেমটির ক্ষেত্রেই নয়, ‘গিটার হিরো’ গেমটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একজন ব্যাপক অস্থিরচিত্ত মানুষ হিসেবে এবং একজন ভিডিও গেমপ্রেমী হিসেবে যখন শুনি, আমাদের গান গেম দুনিয়ায় ঢুকেছে, তখন আমার চরম আনন্দ লাগে।
আওয়ার ট্রুথ
[কর্মকোড; ২০০৬]
আওয়ার ট্রুথ-এর ভিডিওর শুটিং আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসে করেছিলাম। মনে পড়ে, পাহাড়ে গিয়েছিলাম আমরা; তখন গাঢ় সন্ধ্যা। বেশ ভয় লাগছিল। কেননা, চারপাশ থেকে প্রচুর নেকড়ের ডাক কানে আসছিল। আরও মনে পড়ে, শুট যেন অনন্তকাল ধরে চলছিল! কেননা, এটা-ওটা প্রচুর পরিবর্তন করা হচ্ছিল। মেকআপ নিতেও সময় লেগেছিল অনেক। খেতে গিয়ে দেখি, খাবার ঠাণ্ডা হয়ে জমে গেছে।
গানটি আন্ডারওয়ার্ল্ড সিনেমায়ও ছিল। এটি আরেকটি দারুণ ঘটনা। কেননা, আন্ডারওয়ার্ল্ড-এ এমনসব অনুষঙ্গ ছিল, যেগুলো লাকুনা কয়েল-এর গানে হরদম থাকে: যেমন, অন্ধকার, ভ্যাম্পায়ার এবং একইসঙ্গে কল্পিত এক উন্মত্ত দুনিয়া।
গানের কথাগুলোতে নির্ভয়ের বার্তা রয়েছে। নিজের ভেতর নিজ শক্তি খোঁজার প্রচেষ্টার বার্তা দিয়ে এটি (শ্রোতাকে) সশব্দে আত্মপ্রকাশের সাহস জোগায়: আপনার যদি কোনোকিছুর প্রতি আস্থা জন্মায়, তাহলে সেই নিজ বিশ্বাসের পক্ষে সবসময়ই দাঁড়ানো উচিত।
নাথিং স্ট্যান্ডস ইন আওয়ার ওয়ে
[ব্রোকেন ক্রাউন হ্যালো; ২০১৪]
এই গানটি মূলত আমাদের অ্যানথেম। এ এমনই এক গান, যেটি আমাদের সবসময় নিজ রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেয়। গানের কথা– ‘নাথিং স্ট্যান্ডস ইন আওয়ার ওয়ে’ই [‘আমাদের চলার পথে কোনোকিছুই পাশে নেই’] বলে দেয়, এ গান আসলে কী নিয়ে: সামনেই রয়েছে বাধা, তবু আপনার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন, আপনি বরং ভাবার চেষ্টা করুন– গ্লাস অর্ধেক খালি নয়, বরং অর্ধেক ভর্তি। নিজের করা ভুলগুলোর জন্য নিজেকে ক্ষমা করে দিন; কেননা, শেখার শেষ নেই কোনো, আর সেটিই আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে দেবে।
আমার ধারণা, এই বুলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদিও ‘উই ফিয়ার নাথিং’ [‘কিছুই ভয় পাই না আমরা’]– যা কি না আমি বলতে পারি, আমাদের ভক্তদের তাদের কঠিন মুহূর্তগুলোতে প্রেরণা জোগায়, এবং আমার মনে এ বিশ্বা সর জন্ম দিয়েছে– আমরা নিজেদের জন্য যে কথামালা লিখি, সেগুলোর পক্ষে সবার কথা হয়ে ওঠা সম্ভব।
এ গানের মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে আমরা যে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, সেটি আমার খুব প্রিয়; কেননা, এটি কর্মস্পৃহার এক নিরন্তর চক্র।
অ্যাপোক্যালিপস
[ব্ল্যাক অ্যানিমা; ২০১৯]
আমরা যখন গানটি লিখতে শুরু করেছিলাম, এটিকে কোনো পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক বা মহাবিপর্যয়পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবিনি। মনে পড়ে, একটা মরুভূমি, একটা ফায়ারপ্লেস– যার চারদিকে কিছু লোক পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছে নিজেদের জীবন সম্পর্কে– এই চিত্র মাথায় ছিল আমার। আমরা কল্পনা করেছিলাম, একটি গ্রহাণু আসছে; সত্যিকার অর্থেই যে এমনকিছু ঘটতে যাচ্ছিল– সেটি ভাবতে গেলেও এমন মাথা খারাপ হয়ে যায়! [করোনাভাইরাস মহামারি আক্রমণের মাত্র কয়েকমাস আগে মুক্তি পায় অ্যাপোক্যালিপস]। অথচ সেটি ঘটলই।
আমার ধারণা, এই সময়কালকে বোঝাতে এটি একটি যথাযোগ্য গান। এ গানের কথায় রয়েছে, ‘লুকিং অ্যাট দ্য স্যান্ড গ্লিডিং ডাউন দ্য আওয়ার গ্লাস’ [‘বালিঘড়িতে বালি পড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে…’]; তার মানে, আমাদের সময় সীমিত; তাই আমরা জীবনে যা কিছু করি, সেগুলোর দিকে আমাদের তাকানো প্রয়োজন, জানা প্রয়োজন– পৃথিবীতে কেউ চিরকালের জন্য আসিনি।
এই গানের সঙ্গে প্রচুর মন খারাপের মুহূর্তও জুড়ে রয়েছে; কেননা, আমরা আমাদের দুজন মানুষকে হারিয়েছি– যাদের বেশ ভালোভাবে চিনতাম। এমনতর ব্যাপারও এ গানের সঙ্গী।
স্পেলবাউন্ড
[শ্যালো লাইফ; ২০০৯]
গানটির একদমই ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেননা, জীবনকে যারা অগভীরভাবে নেয়, তাদের নিয়ে একটু রসিকতা করা ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। যারা বলে, ‘আমি ধনী, আমি সুন্দর, আমি নিখুঁত!’
মনে পড়ে, এ গানের জন্য প্রচুর সমালোচনা সইতে হয়েছে আমাদের। কেননা, লোকে ধরে নিয়েছিল, আমরা আমাদের ইমেজ পরিবর্তন করছি; তারা বলেছে, আমাদের আবেদন ফুরিয়ে গেছে; আমাদের দেখে কোনো পপ ব্যান্ডের মতো লাগছে। এটা যে একটা ব্যঙ্গাত্মক গান, তারা তা বুঝতেই পারেনি!
স্পেলবাউন্ডই (আমেরিকান রেকর্ড প্রডিউসার) ডন গিলমোরের সঙ্গে করা আমাদের প্রথম রেকর্ড। এই প্রথম আমরা একজন আলাদা রকমের প্রডিউসারের সঙ্গে কাজ করেছি– যেখানে আমাদের কাজ (তাদের কাজের তুলনায়) একেবারেই আলাদা। তিনি মেটালের লোক; তবে তুলনামূলক ‘ক্লিন’ সাউন্ড আছে– এমন অন্য ব্যান্ডকেও প্রডিউস করেন।
আমাদের ব্যান্ডকে চিনে না– এমন একজনের দৃষ্টিকোণ থেকে কাজটি করতে চেয়েছিলাম আমরা; দেখতে চেয়েছিলাম, কিছু শিখতে পারি কি না।
হ্যাঁ; বহু কিছুই শিখেছিলাম; বিশেষ করে, গান লেখা সম্পর্কে। এর আগ পর্যন্ত আমাদের গানগুলোর কথা ছিল আরও ক্রিপটিক বা খেয়ালী ধরনের– যা আমার পছন্দের; তবে অনেকেরই অভিযোগ ছিল, আমরা ঠিক কী নিয়ে কথা বলছি, তারা বুঝতে পারছেন না। তাদের মাথায় ধরছে না! তাই এ গানের বার্তা আমরা তুলনামূলক স্পষ্টভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ব্লাড, টিয়ারস, ডাস্ট
[ডেলিরিয়াম; ২০১৭]
ব্লাড, টিয়ারস, ডাস্ট গানটি এখানে বেছে নেওয়ার কারণ, এটি একটি ভীষণ রকমের হেভি সং– যা প্রচুর মানুষকে চমকে দিয়েছিল; তারা ভাবতে পারেনি– আমরা আবারও হেভি গানের কাছে ফিরে যাব, বিশেষত যেখানে প্রচুরসংখ্যক ব্যান্ড তুলনামূলক সফট গানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
এই অ্যালবামটিও আমাদের কাছে গুরুত্ববহ; কেননা, ডেলিরিয়াম কথা বলেছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে; ফলে এ অ্যালবামের সবকিছুই ঘটেছে একটি কাল্পনিক স্যানাটারিয়ামকে ভিত্তি করে। আমরা মঞ্চে এমন ধরনের পোশাক পরে উঠেছি, যেন দেখে রোগীদের কথা মনে পড়ে যায়।

এ ছিল ভীষণ এক অন্ধকার কাল। সে সময়ে প্রচুর স্যানাটরিয়ামে গিয়েছিও আমি– যেগুলো এখন আর খোলা নেই; গিয়েছি অনেকগুলো মানসিক হাসপাতালেও।
এটি ছিল ভীষণ রকমের হৃদয়ছোঁয়া ব্যাপার; বিশেষত, এ গানের বিষয়বস্তুটি আমার খুবই কাছের: আমার পরিবারের একজন সদস্য, আমার একেবারেই ঘনিষ্ঠ একজন মানুষ এইসব জায়গার একটিতে ছিলেন।
মাই স্পিরিট
[ডার্ক অ্যাড্রেনালিন; ২০১২]
/
ওয়ান কোল্ড ডে
[ব্রোকেন ক্রাউন হ্যালো; ২০১৪]
একটির বদলে দুটি গান একসঙ্গে বেছে নেওয়ার কারণ, এ দুটি গানই এমন কিছু বন্ধুকে উৎসর্গ করা, যাদের আমরা হারিয়েছি। (টাইপ ও নেগেটিভ ব্যান্ডের লিড ভোকাল) পিটার স্টিল যে রাতে মারা যান, সে রাতেই মাই স্পিরিট লেখা হয়েছে। আমাদের সবার মন খুব খারাপ ছিল। কেননা, আমরা বরাবরই ছিলাম টাইপ ও নেগেটিভ-এর বিরাট ভক্ত। এমনকি ওই ব্যান্ডের সঙ্গে ট্যুর করার সুযোগও পেয়েছিলাম। আর তাতেই বুঝেছিলাম, তারা শুধু আমাদের অনেক পছন্দের শিল্পীই নন, দারুণ মানুষও ছিলেন। তাই পিটার স্টিলের মৃত্যুসংবাদ আমাদের জন্য ছিল বিশাল একটা ধাক্কা।
অন্যদিকে, ওয়ান কোল্ড ডে বেছে নেওয়ার কারণ, ক্যানসারে লাকুনা কয়েল-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ক্লাউদিয়ো লিওর মৃত্যুর পর এ গান আমরা লিখেছি। দিনটি ঘনিয়ে আসছে– জানতাম; কিন্তু প্রিয় কোনো মানুষের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটা মেনে নেওয়া আসলেই খুব কঠিন।
এ কারণে এ দুটি গান একসঙ্গে বেছে নিয়েছি; কেননা, এ দুটোর মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়া আমার জন্য কঠিন ছিল: কেননা, ওই দুটি মানুষ আমাদের কাছে ছিলেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: মেটাল হ্যামার; মাসিক হেভি মেটাল ও রক মিউজিক ম্যাগাজিন; যুক্তরাজ্য। জুন ২০২১