আমার আইয়ুব বাচ্চু অথবা গীতিকারের চোখে একজন রক আইকন: বাপ্পী খান

0
202
আইয়ুব বাচ্চু
বাপ্পী খান ও আইয়ুব বাচ্চু। ছবি: মোহাম্মদ ইয়ারুজ্জামান

ভূমিকা ও সাক্ষাৎকার । রুদ্র আরিফ

ভূমিকা
বাপ্পী খান। প্রখ্যাত গীতিকার। বাংলাদেশি রক মিউজিকের অনেক কালজয়ী গান তার লেখা। কিংবদন্তি রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুর জন্য লিখেছেন হাত খুলে। গভীর স্নেহ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল দুজনের। ১৬ আগস্ট আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন সামনে রেখে তার সুদীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেওয়ার ইচ্ছে ছিল ‘লালগান’-এর জন্য। কিন্তু করোনাভাইরাস বাস্তবতায় সেটি সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত এই ভার্চুয়াল ও রীতিবদ্ধ প্রশ্নোত্তর পর্বেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে আমাদের।


সাক্ষাৎকার

রুদ্র আরিফ :: গীতিকার হিসেবে আপনার প্রস্তুতি এবং আইয়ুব বাচ্চুর জন্য প্রথম গান লেখার স্মৃতি জানতে চাই।

বাপ্পী খান: বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম সলো অ্যালবামের সময়ে পরিচয়, ১৯৯১ সালে। এলআরবি গঠনের সময়ই। তখন গীতিকার হিসেবে কোনো পরিচয় ছিল না। তখন জেমস ভাইয়ের সুরে ফাহমিদা নবীর একটি অ্যালবামে আমি কাজ করছিলাম। ওই রেকর্ডিংয়ে বাচ্চু ভাই এসেছিলেন। গান শুনে জেমস ভাইকে উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এটা কার লেখা?’ জেমস ভাই বললেন, ‘বাপ্পীর লেখা।’

বাচ্চু ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘কী রে, তুই গান লিখিস, আমাকে তো বলিস নাই কখনো? তোর গান থাকলে গান দে, আমি তো কাজ করতেছি এলআরবির।’ আমি বললাম, ‘আমার কাছে তো গান নাই, কিছু কবিতা লেখা আছে। দেব?’

‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, দে; অসুবিধা নাই।’

পরের দিন আমি ওনাকে কবিতার খাতাটা দিলাম। ১০-১২টা কবিতা ছিল ওটার মধ্যে। পরের রাতে উনি আমাকে ফোন করে বললেন, ‘কালকে সারগামে আয়। শোন, কী অবস্থা।’ গেলাম তার পরের দিন সারগামে। উনি পেনশন গানটা করলেন। ওই অ্যালবামে [এলআরবি-১, ২] পেনশন, জীবনের মানে, এক কাপ চা— আমার লেখা এই গানগুলো জায়গা পেল। তখন থেকেই এলআরবির সঙ্গে আমার কাজ শুরু।

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চু আপনার লেখা কতগুলো গান গেয়েছেন? এরমধ্যে কয়েকটির শিরোনাম যদি বলতেন।

এখন অনেক রাত । ভোকাল: আইয়ুব বাচ্চু । লিরিক: বাপ্পী খান

বাপ্পী খান :: কতগুলো গান? আসলে এলআরবিতে আমার লেখা গান আছে ৪০টার মতো। এছাড়া বাচ্চু ভাইয়ের সলো অ্যালবাম, বাচ্চু ভাইয়ের মিক্সড অ্যালবাম এবং অন্যান্য আর্টিস্টদের জন্য আমার লেখা গানে তার সুর ও সংগীত– সব মিলিয়ে ৮০টার ওপরে ওনার সঙ্গে গান করেছি। এরমধ্যে মানুষ বোধহয় সবচেয়ে বেশি শুনেছে বা এখনো শোনে এখন অনেক রাত— যেটার অরিজিনাল শিরোনাম ছিল দরজার ওপাশে। আরও আছে গতকাল রাতে, তারপর সাড়ে তিন হাত মাটি… আরও… মানুষ কোনটা যে পছন্দ করে, আমি তো বলতে পারব না!

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া আপনার লেখা কোনো একটি বিশেষ গানের নেপথ্য গল্প শুনতে চাই।

বাপ্পী খান :: একটা গান ছিল, শিরোনাম প্রতারক চোখএলআরবিরই গান ছিল এটা, মিক্সড অ্যালবাম ধ্বনিতে রিলিজ হয়েছিল। মনে আছে, গানটার জন্য আমি এক অন্ধের সঙ্গে এয়ারপোর্ট বস্তিতে এক রাত কাটিয়েছিলাম। এটা নিয়ে বাচ্চু ভাই অনেক হাসাহাসি করেছেন। সেই রাতে অন্ধ লোকটি আমার সঙ্গে অনেক কথা বলেছেন। তার দুঃখ-কষ্টের কথা বলতে বলতে এক সময় বলেছিলেন, ‘আমি একটা ব্যাপারে খুশি, এই যে মারামারি-হুড়োহুড়ি, এত অন্যায়-অবিচার– এগুলো আমাকে দেখতে হয় না। আমি আপাতত এতেই খুশি।’ এই কথাটা থেকেই আসলে এই গানের জন্ম।

আইয়ুব বাচ্চু

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে আপনার কাজের পদ্ধতিটা বা প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? মানে, একটা গান কীভাবে পূর্ণ রূপ পেত?

বাপ্পী খান :: অনেকভাবেই তো কাজ করেছি! প্রথমত লেখা দিতাম আমি, উনি সেখান থেকে সুর করতেন। এটা একভাবে করতাম আমরা। আরেকভাবে হতো, উনি গিটার বাজাতেন যখন, ওনার এতই অদ্ভুত গিটার বাজানো ছিল যে, ওনার গিটার বাজানো শুনলে আমার লেখা বের হতো। এটা একটা সিস্টেম ছিল আমাদের একসঙ্গে কাজ করার। আরেকটা সিস্টেম ছিল, উনি আগে সুর করে মিউজিক ট্র্যাক তৈরি করে ফেলতেন, এবং ট্র্যাকের ওপরে আমি কথা বসাতাম।


আমাদের
দুজনের একটা
সং-ব্যাংক ছিল, আমরা
গান জামাতাম
ওখানে

এই তিনটা সিস্টেমের বাইরেও যে আরেকটা ব্যাপার ছিল, সেটা হচ্ছে– আমাদের দুজনের একটা সং-ব্যাংক ছিল, আমরা গান জামাতাম ওখানে। মানে কোন অ্যালবামে যাবে, এগুলো বিবেচনা না করে আমরা ওখানে গান জমাতাম। ফলে একটা অ্যালবামে যদি ১২টা গান রিলিজ হতো, তখন দেখা যেত আমরা ১৫-২০টা গান অলরেডি রেডি করে রেখেছি। এ কারণে বেছে নিতে সুবিধা হতো।

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কোনো বিশেষ স্মৃতি?

বাপ্পী খান :: আসলে স্মৃতির তো কোনো শেষ নেই। ১৯৯১ সালের পর থেকে বাচ্চু ভাই মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত, এমনকি এখনো প্রতিদিনই ওনাকে ভাবি, প্রতিদিনই ওনাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ হয় আমার মনে, তারপরে একটা গানের কথা আসলে মনে পড়ে: বাচ্চু ভাইয়ের ওয়াইফ তখন প্র্যাগনেন্ট। ফার্স্ট শিশু ওনার। উনি হলি ফ্যামিলিতে ভর্তি ছিলেন। ওই সময়ে আমি আর নীলয়’দা [নীলয় দাস] রাত্রিবেলা ওখানে থাকতাম; ওই হসপিটালের নিচে আমরা হাঁটাহাঁটি করতাম। বাচ্চু ভাই আসতেন, আমরা আড্ডা-টাড্ডা দিতাম।

একদিন হঠাৎ এসে বাচ্চু ভাই বললেন, ‘বাপ্পী, এই যে এখানে কিছু লোক আছে, যাদের কেউ দেখতে আসে না আসলে; এমনি হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দিয়ে গেছে, এদের আত্মীয়-স্বজনেরা কেউ দেখতে-টেখতে আসে না। হয়তো পয়সাপাতি দিয়ে-টিয়ে যায়, তো, এদের নিয়ে একটা গান করলে কেমন হয়?’

আমি বললাম, ‘বাচ্চু ভাই, ভাবির এখন যখন-তখন অবস্থা, আপনি এইসমস্ত গান-বাজনা নিয়া এখন চিন্তা করা বন্ধ করেন।’ বস (তাকে আমি ‘বস’ বলেই ডাকতাম) থামলেন। কিন্তু ওনার আইডিয়াটা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। গভীর রাতে এক বসায় গানটি লেখা হলো– হাসপাতালে

আইয়ুব বাচ্চু বাপ্পী খান

রুদ্র আরিফ :: কখনো কোনো গান নিয়ে দ্বিমত বা মনোমালিন্য হয়েছে? হয়ে থাকলে কীভাবে সামাল দিয়েছেন উভয় তরফে?

বাপ্পী খান :: আমি আসলে খুব স্ট্রেটফরোয়ার্ড মানুষ। কোনোকিছু ভালোলাগলে সরাসরি বলে দিই, ভালো না লাগলেও বলে দিই। এ রকম অনেক দ্বিমত আমার সঙ্গে বসের হয়েছে। এগুলো আবার মিটমাটও হয়ে যেত।

তবে একটা বিষয় স্মরণ করতে চাই, একবার এলআরবির জন্য বাংলাদেশের ওপর একটা গান করলাম, শিরোনাম ছিল– এই আমাদের অহংকার। গানটা প্রজন্ম ’৭১-এর একটা অনুষ্ঠানে চালানো হবে। ওই অনুষ্ঠানের ওপর বেস করে আমরা গানটা করলাম। ওই গানের নামেই অনুষ্ঠানের নাম হলো।

গানটার মাঝখানে একটা কথা ছিল– ‘বাংলা আমার মায়ের ভাষা, আমরা বাংলাদেশি, এই আমাদের অহংকার…।’ গান শেষ। ভিডিও শেষ। অনুষ্ঠান প্রচারের আগে হঠাৎ বস আমাকে কল করে বললেন, “বাপ্পী, একটা ঝামেলা হচ্ছে। এক অদৃশ্য সেন্সর নাকি বলেছে, ‘বাংলাদেশি’ শব্দটা বদলাতে হবে।”

আমি বললাম, ‘না বস, লাগলে আমরা গান দেব না, কিন্তু শব্দ বদলানো যাবে না।’ এরপর সামনাসামনি দেখা হলে বস আমাকে বোঝালেন, “এখন গান না দিলে খারাপ হবে। আমি আপাতত ঠিক করে নিচ্ছি। ‘বাংলাদেশি’র বদলে ‘বাংলা মা জননী’ করে দিচ্ছি; তুই কিছু বলিস না।”


বস কথা রেখেছিলেন।
গানটা আর
কখোনো
রিলিজ
হয়নি

আমি বললাম, ‘ঠিক আছে বস, এখানে এমন যাক, এভাবে আমরা রিলিজ করব না।’ বস কথা রেখেছিলেন। গানটা আর কখোনো রিলিজ হয়নি।

রুদ্র আরিফ :: একজন রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুকে কেমন দেখেছেন? আপনি একজন গীতিকার হিসেবে তাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

বাপ্পী খান :: রকস্টার হিসেবে বাচ্চু ভাইকে মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে কি না, আমি ঠিক জানি না। কারণ, একাধারে গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সংগীত পরিচালক– তিনি একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। উনি একাই আসলে একটা ইন্ডাস্ট্রির মতো। আমার জীবদ্দশায় তো নাই-ই, আরও ২০০-৩০০-৫০০ বছরেও আইয়ুব বাচ্চুর মতো আরেকজন রক আইকন (রকস্টার– ‘স্টার’ শব্দটা আমি খুব একটা পছন্দ করি না, আমার কাছে ‘আইকন’ শব্দটা খুব ভাল্লাগে) বাংলাদেশে আসবে কি না, আমার সন্দেহ আছে।

এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে গেলে আসলে বহু কথা বলতে হবে। কারণ, ২-৪-৫টা শব্দে বাচ্চু ভাইকে মূল্যায়ন করা সম্ভব না।

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে শেষ দেখা, শেষ কথার স্মৃতি…

বাপ্পী খান :: বাচ্চু ভাই মারা যান অক্টোবরে; তার আগে আমার আব্বা মারা যান আগস্টের ৯ তারিখ। আমি যখন ওনাকে দুপুরে জানালাম… আমার আব্বার সঙ্গে বাচ্চু ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল, আমরা একই মহল্লায় থাকতাম এবং প্রায় ২০ বছরের মতো আমরা একই গলিতে ছিলাম, আমার পরিবারের সঙ্গে ওনার বরাবরই ওঠা-বসা ছিল প্রায় ৩০ বছর যাবৎ… আমি আব্বার মৃত্যুসংবাদটা যখন দিলাম, উনি জানাজায় এসেছিলেন। আব্বার জানাজা পড়লেন উনি। তারপর লাশের গাড়ির কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলেন। আব্বার উদ্দেশে বললেন, ‘খালু, আপনি যান, আমরা আসতেছি…।’ আমার বড় ভাইকে ধরেও খুব কাঁদলেন। বিদায় নেওয়ার আগে আমাকে বললেন, ‘এখন তো বাবা মারা গেছে, এখন বুঝবি… আর, সম্পত্তির জন্য ভাইয়ের সাথে কখনো বিবাদ করবি না।‘

আইয়ুব বাচ্চু

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুসংবাদ শোনার পর প্রথমেই আপনার মাথায় কী ভাবনা এসেছিল?

বাপ্পী খান :: আসলে মৃত্যুসংবাদটা এত অপ্রত্যাশিত ছিল… ওদিন আবার আমরা নতুন ফ্ল্যাটে উঠছি– নিকেতনে, আমি ওনাকে ওইদিন ফোন করব, ওদিন সন্ধ্যাবেলায় আমাদের বাসায় একটা হোম ওয়েলকাম পার্টির মতো আয়োজন করেছি, যেখানে আমাদের আত্মীয়স্বজনরা বা কাছের বন্ধুবান্ধবরা আসবেন, বাচ্চু ভাইকেও আমি দাওয়াত দেব। দুপুরের দিকে ফোন করব, ঠিক করে রেখেছিলাম। ১১টার দিকে এক থেকে এক অফিস থেকে ফোন করে আমাকে একজন জানিয়েছে ঘটনাটা। শুনে প্রথমে আমি বুঝে ওঠতেই পারছিলাম না, ঘটনাটা আসলে কী?

আমি জানতাম ওনার হার্টে সমস্যা আছে। উনি একবার আমার সঙ্গে আগেও আলাপ করেছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘বস, আপনি সিগারেট ছাড়লেন কীভাবে?’ তখন আমাকে বলেছিলেন, ‘…এই সমস্ত কারণে আমি সিগারেট খেতে পারছি না।‘


শব্দ
দিয়ে
সব কথা
বলা যায়
না

যাক, মৃত্যুসংবাদটি এত আচমকা ছিল যে, আমার এমন রক্তচাপ বেড়ে যায়, আমাকে তিনদিন বিছানায় থাকতে হয়েছিল। অনেক টিভি বা মিডিয়া থেকে কল আসছিল, আমি কথা বলতে পারছিলাম না। শব্দ দিয়ে সব কথা বলা যায় না।

রুদ্র আরিফ :: আইয়ুব বাচ্চুকে ঘিরে কোনো আক্ষেপ?

বাপ্পী খান :: আসলে আমার সে রকম কোনো আক্ষেপ নেই। শুধু গীতিকার হিসেবেই নয়, একজন বন্ধু হিসেবে, একজন ছোটভাই হিসেবে উনি আমাকে যেভাবে সম্মান করতেন, আমার কথার যেভাবে উনি মূল্য দিতেন, অনেক ব্যান্ডমেম্বারের চেয়েও আমাকে বেশি প্রাধান্য দিতেন, আমার কথা রাখতেন বেশি। তবু আক্ষেপ তো কিছু জীবনে থাকেই।

একা । অপ্রকাশিত গান । ভোকাল: আইয়ুব বাচ্চু । লিরিক: বাপ্পী খান

উনি মারা যাওয়ার মাস ছয়েক আগে আমি একদিন গেলাম এবি কিচেনে। বললাম, ‘বস, অনেক গানই তো লিখলাম। এখন আমার ইচ্ছে হয়েছে, আমি আপনার একটা পুরো অ্যালবাম লিখতে চাই, সলো। আমার স্টাইলে। আমি যেভাবে লিখব, আপনাকে পুরো ওইভাবে গাইতে হবে।’

তিনি আমাকে খাতা এনে দিলেন একটা। বললেন, ‘তুই এটাতে লেখ। তারপর আমরা কাজে হাত দেব।’

খাতাটায় এখন অনেকগুলো গান লেখা আছে। খাতাটা খাতার মতো পড়ে আছে। এটা একটা আক্ষেপ, আসলে।


ঢাকা; ৮ আগস্ট ২০২১
Print Friendly, PDF & Email
সম্পাদক: লালগান । ঢাকা, বাংলাদেশ।। মিউজিকের বই [অনুবাদ]: আমার জন লেনন [মূল: সিনথিয়া লেনন]; আমার বব মার্লি [মূল: রিটা মার্লি] ।। কবিতার বই: ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা; র‍্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ; হাড়ের গ্যারেজ; মেনিকিনের লাল ইতিহাস ।। সিনেমার বই [সম্পাদনা/অনুবাদ]: ফিল্মমেকারের ভাষা [৪ খণ্ড: ইরান, লাতিন, আফ্রিকা, কোরিয়া]; ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো : প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার; তারকোভস্কির ডায়েরি; স্মৃতির তারকোভস্কি; হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন; কুরোসাওয়ার আত্মজীবনী; আন্তোনিওনির সিনে-জগত; কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা; সিনেঅলা [৩ খণ্ড]; বার্গম্যান/বারিমন; ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক; ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ফেদেরিকো ফেল্লিনি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার চান্তাল আকেরমান; বেলা তার; ক্রিস্তফ কিয়েস্লোফস্কি; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার বেলা তার; সাক্ষাৎ ফিল্মমেকার নুরি বিলগে জিলান